বিয়ে সেরে সটান পাড়ি সুইৎজারল্যান্ড, গ্রিসে। সেখানেই সারলেন হানিমুন। তারপরেই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মিথিলার বাড়িতে জামাই আদরের প্রথম ছবি টুইটারে শেয়ার করেন পরিচালক। বিতর্কের শুরু সেখান থেকেই। খাবারের মেনুতে ছিল- ''ঝিরি ঝিরি আলুভাজা, লটে শুঁটকি, ডাল, কড়াইশুঁটি দিয়ে পাবদা মাছ, মুরগির ঝোল আর বাঁধাকপি দিয়ে গরুর গোস্ত।''
ছবি দেওয়া মাত্রই টুইটারে সমালোচনায় নামেন নেটিজেনদের একাংশ। কুৎসিত মন্তব্য করতে শুরু করেন তারা। টুইটারেতিরা বলেন, ''ধর্ম মানা না মানা আপনার ব্যাপার, তবে জেনে রাখুন, হিন্দু ধর্মে গরু খাওয়া নিষেধ'', আবার কেউ অকথ্য গালিগালাজ করেন। আবার কারও বক্তব্য, সৃজিতের পদবি নিয়ে।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সেই টুইট।
20, 2019
20, 2019
আরও পড়ুন, প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো: চোখের সামনে সত্যি হল কাঙ্খিত কল্পদৃশ্য
নেটিজেনদের উত্তর দিতে অবশেষে ময়দানে নামে সৃজিত মুখোপাধ্যায় স্বয়ং। একের পর এক জবাবে ক্লিনবোল্ড করেন পরিচালক। নিজের ছবির সংলাপ লিখে উত্তর দিয়েছেন ট্রোলিংয়ের। টুইটে সৃজিত লিখেছেন, হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা আপনার মতো অশিক্ষিতের মুখে বেমানান। ঋগবেদ, ''মনুস্মৃতি ও গৃহসূত্রর কিছু শ্লোক দেব খাওয়াদাওয়া নিয়ে, রোজ সকালে কান ধরে ছাদে দাঁড়িয়ে মুখস্থ করবেন। ভদ্রভাবে বোঝালাম, নয়তো মনে রাখবেন বাইশে শ্রাবণের সংলাপ কিন্তু আমারই লেখা।”
19, 2019
20, 2019
19, 2019
19, 2019
আরও পড়ুন, কলকাতায় দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত পরিচালক দেবলীনা মজুমদার
অনেকে আবার সৃজিতের বেদের উদাহরণ তোলা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তবে শুধু সমালোচনা নয় বেশ কিছু মানুষ পাশেও দাঁড়িয়েছেন সৃজিতের। তাঁরাও পরিচালকের হয়ে নেমে পড়েছে টুইট যুদ্ধে।